ঘরে বসে অনলাইনে আয়
ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং -এ স্কীল থাকাটা খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ। এই প্লাটফরমে ঠিকে থাকতে হলে ডিজিটাল মার্কেটিং -এর উপর আপনাকে নির্ভরশীল হতেই হবে। ধারাবাহিকভাবে আমরা ডেইলীসুরমা ডট কম -এ ডিজিটাল মার্কেটিং এ বেসিক লেভেল থেকে এডভান্স লেভেল পর্যন্ত আলোচনা করব। তাই সাথেই থাকুন আর অনলাইন আউটসোর্সিং প্লাটফরমের সবচেয়ে ভেলুএবল স্কীলটি শিখতে থাকুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং
মাকের্টিং বা প্রচারনা অনলাইনের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে করাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। আরও সহজ করে বলতে গেলে বলা যায়, অনলাইনের মাধ্যমে কোন সার্ভিস বা প্রডাক্টের বিজ্ঞাপন করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়। অর্থাৎ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে কোন প্রকারের মাকেটিং করাকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়।
এখন প্রশ্ন হতে পারে, রাস্তা ঘাটে আমরা যে ডিজিটাল ব্যানার দেখতে পাই এটাও কি ডিজিটাল মার্কেটিং?
উত্তর হচ্ছে – না। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরও বিস্তর পরিধি রয়েছে। ধীরে ধীরে আমরা এর গভীর আলোচনায় প্রবেশ করব।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হলে কি কি লাগবে?
১। একটি কম্পউটার (ইন্টারনেটসহ)।
২। কম্পিউটারের বেসিক নলেজ।
৩। ক্রিয়েটিব কন্টেন্ট ক্রিয়েশন দক্ষতা।
ঘরে বসে অনলাইনে আয় – ডিজিটাল মার্কেটিং পর্ব ১
আজকের পর্বে জানব কি কি পদ্ধতিতে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে কি কি বিষয় নিয়ে আমাদের জানতে হবে বা স্টাডি করতে হবে।
কি কি উপায়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায় ?
১। সোশিয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং।
২। বিজনেস ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মার্কেটিং।
৩। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ও মার্কেটিং।
৪। ইমেল মার্কেটিং ও এসএমএস মার্কেটিং।
৫। এফিলিয়েট মার্কেটিং।
৬। কন্টেন্ট মার্কেটিং।
৭। ইনফ্লোয়েন্সার মার্কেটিং।
সোশিয়াল মিডিয়ায় ডিজিটাল মার্কেটিং –
১। ফ্রি মার্কেটিং: ইউটিউবে / ফেইসবুকে / লিংকডইনে / টুইটারে / ইন্টাগ্রামে বা যেকোন সোশিয়াল প্লাটফরমে একটি প্রফেশনাল বিজনেস আইডি বা পেজ তৈরি করে সেখানে একটি বড় অডিয়েন্স তৈরি করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনার যদি কোন অডিয়েন্স তৈরি করার ক্ষমতা না থাকে তবে আপনি কোনদিনই প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন না। সোশিয়াল মিডিয়ায় একটি কার্যকরি অডিয়েন্স তৈরি করতে হবে।
২। পেইড মার্কেটিং: সোশিয়াল মিডিয়ায় পেইড বুস্টিং বা বিজ্ঞাপন করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কিভাবে মার্কেটিং করলে আরও বেশী মানুষের কাছে প্রডাক্টের প্রচারনা করা সম্ভব তা বুঝতে পারতে হবে। পেইড বিজ্ঞাপন করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
*** সোশিয়াল মিডিয়ায় নিজের অডিয়েন্সকে আরও বেশী কানেক্টেড রাখতে ইনফোগ্রাফিক্স এবং ভিডিও মেকিং ও এডিটিং এ দক্ষতা অর্জন করতে হতে পারে। তবে এটি এডভান্স লেভেলে শিখতে পারেন। তাছাড়া কিছু এআই টুলস ও ওয়েবসাইটের সহায়তায় আমরা কাজগুলো করতে পারব। তবে প্রফেশনাল দক্ষতা অর্জন করতে পারলে আরও ভালো।
বিজনেস ওয়েবসাইটে ডিজিটাল মার্কেটিং
১। ব্লগিং বা কন্টেন্ট রাইটিং: কথিত আছে, মানুষ সেই প্রডাক্ট কিনে যে প্রডাক্ট মানুষ ভালো মনে করে। তাই নিজের কথার মাধুর্যে যদি প্রডাক্ট বিক্রয় করার দক্ষতা অর্জন করতে না পারেন তবে আপনি কোনভাবেই সফল ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারবেন না।
২। অন পেইজ এসইও: ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে অনপেইজ অপটিমাইজেশন জানতে হবে। এই দক্ষতা অর্জনের সময় কীওয়ার্ড রিসার্চ, কম্পিটেটর ফাইন্ড আউটসহ একটি ওয়েবসাইট সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা থাকতে হবে।
৩। সেলস ফানেল: সেলস ফানেল তৈরি করে ডিজিটাল মার্কেটিং এ কাস্টমারকে প্রডাক্ট কিনতে আরও বেশী উৎসাহী করা সম্ভব। তাছাড়া সেলস ফানেলে দক্ষতা অর্জন করে কাস্টমারের কাছে বার বার প্রডাক্টের মার্কেটিং করা সম্ভব।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপ হচ্ছে সবচেয়ে ক্রিটিক্যাল স্টেপ। এটিও দুইভাবে করা যায়।
১। ফ্রি সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং: অফ পেইজ অপটিমাইজেশনসহ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের সব থেকে ক্রিটিক্যাল স্টেপ হচ্ছে একটি সার্চ ইঞ্জিনের কাজের এলগারিদম সম্পর্কে নিজের ধারনা পরিষ্কার রাখা।
২। পেইড সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং: এই স্টেপে আমাদের দক্ষতা অর্জন করতে হয়, কিভাবে আমরা সার্চ ইঞ্জিনে পেইড বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রডাক্ট সেলস করতে পারি সেই দক্ষতা এই স্টেপে আমাদের অর্জন করতে হবে।
ইমেল মার্কেটিং ও এসএমএস মার্কেটিং
সেলস ফানেলের মাধ্যমে বা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমরা ইমেল ও মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে প্রফেশনালী ইমেল মার্কেটিং বা এসএমএস মার্কেটিং করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আমরা হয়ত সবাই ইমেল বা এসএমএস সেন্ড করতে জানি। কিন্তু একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসাবে আপনাকে এমনসব প্লাটফরমে দক্ষতা থাকতে হবে যার সাহায্যে সহজেই হাজার হাজার ইমেল বা এসএমএস সেন্ড করা যায়। আরও জানতে হবে কিভাবে এই কাজ করলে আরও বেশী সেলস দেয়া সম্ভব এবং আরও বেশী মানুষের কাছে পৌছানো সম্ভব।
এফিলিয়েট মার্কেটিং
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ডিজিটাল মার্কেটার হিসাবে অনলাইনে আয় করার পদ্ধতি সারা বিশ্বে খুবই জনপ্রিয়। টুটাল ডিজিটাল মার্কেটিং এর দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে একজন ডিজিটাল মার্কেটার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় করতে পারবেন। একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং এ দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
কন্টেন্ট মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটারকে কন্টেন্ট ক্রিয়েট করার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সেই প্রডাক্টই মানুষ কিনে যে প্রডাক্টের ভালো ভালো রিভিউ অনলাইনে পাওয়া যায়। আর মূলত ভালো প্রডাক্টেরই ভালো ভালো রিভিউ দেয়া হয়। তাই একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসাবে একটি প্রডাক্টের সব ভাল গুন সুন্দরভাবে গুছিয়ে ক্রেতাদের বুঝাতে হবে।
ইনফ্লোয়েন্সার মার্কেটিং
ইনফ্লোয়েন্সার মার্কেটিং বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় একটি মার্কেটিং পদ্ধতি। এটি মূলত সোশিয়াল মিডিয়া মার্কেটিং এরই একটি স্টেপ। সোশিয়াল মিডিয়ায় জনপ্রিয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে ইনফ্লোয়েন্স তৈরি করে প্রডাক্ট সেলস দেয়াকে ইনফ্লোয়েন্সার মার্কেটিং বলা হয়।
পরিশেষে বলতে পারি, এই পদ্ধতি গুলোতে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসাবে কাজ শুরু করতে পারব। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপ্তি আরও অনেক বড়। তবে এই স্টেপগুলো আয়েত্ত্বে নিয়ে আসতে পারলে এবং কাজের নমুনা তৈরি করে রাখতে পারলে একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসাবে নিজের আত্নপ্রকাশ ঘটানো সম্ভব।