Thu. Nov 21st, 2024
প্রিন্ট অন ডিমান্ড

প্রিন্ট অন ডিমান্ড ব্যবসা করুন অল্প পুজিতে

প্রিন্ট অন ডিমান্ড ব্যাপক প্রচলিত একটি ব্যবসা হলেও বাংলাদেশে খুব কম সংখ্যক প্রতিষ্ঠান এই সার্ভিস দিচ্ছে। এই ব্যবসা শুরু করতে পারলে এবং সঠিকভাবে একটি প্লান করতে পারলে অল্প দিনের মধ্যেই বড় ধরনের প্রফিট নিয়ে আসা সম্ভব। অনেকেই এই ব্যবসা শুরু করেছেন একেবারে শুন্য পুজিতে। মানে একেবারে টাকা ছাড়া। শুধুমাত্র নিজের মার্কেটিং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েও শুরু করা যায়।

আরও পড়ুন >> ২/৩ লক্ষ টাকা বিনিয়োগে নিশ্চিত লাভের বিজনেস

প্রিন্ট অন ডিমান্ড ব্যবসা আসলে কি?

কলমের উপর, টিসার্টের উপর, চাবির রিংয়ের উপর, খেলার জার্সির উপর বা বিশেষ কোন প্রডাক্টের উপর কোম্পানীর নাম / লগো ব্যবহার করে অনেক প্রতিষ্ঠান মার্কেটিং করতে চায়। যার যেমন ডিমান্ড সেরকম করেই প্রডাক্টকে তৈরি করে দেয়াই হচ্ছে প্রিন্ট অন ডিমান্ড ব্যবসা। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা লেখকের বইয়ের অনলাইন কপিরাইট নিয়ে রাখে। তারপর যত অর্ডার আসে ঠিক ততপিস বই তৈরি করে সেল করে। অর্থাৎ যেকোন প্রিন্টিং এর ব্যবসা কাস্টমারের চাহিদার উপর ভিত্তি করে সেই প্রডাক্ট তৈরি করে বিক্রয় করাই প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস।

প্রিন্ট অন ডিমান্ড ব্যবসা কিভাবে শুরু করতে হয়?

প্রিন্ট অন ডিমান্ড ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার একটি মাধ্যম লাগবে যেখান থেকে আপনি আপনার কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ করবেন এবং কাস্টমার আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। আপনার পূর্বের কাজের নমুনা দেখতে পারবে। আপনার যদি বাজেট নিয়ে সমস্যা না থাকে তবে তবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে শুরু করতে পারেন। সেখানে আপনি অনেকগুলো কাজের সেম্পল পাবলিশ করতে হবে। তবে মনে করবেন না যে, সবগুলো সেম্পল টাকা খরচ করে তৈরি করে তারপর ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে হবে। বরং সামান্য কিছু টাকা খরচ করে আপনি ডিজাইনারকে দিয়ে অনেকগুলো সেম্পল তৈরি করে আপনার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে পারেন। আর বাজেট কম হলে ওয়েবসাইটের পরিবর্তে ফেইসবুকে বা অন্য কোন সোশিয়াল মিডিয়ায় পেইজ ও গ্রুপ খুলে শুরু করতে পারেন। তবে ওয়েবসাইটসহ শুরু করলে আপনার ব্যবসাকে একটি ব্রান্ড ভেলু দিবে। এতে কাস্টমার সহজে সুন্দরভাবে প্রডাক্ট ও তার দাম দেখতে পারবে এবং সহজে অর্ডার করতে পারবে।

আপনি যদি এই কাজের জন্য অল্প টাকায় ডিজাইনার হায়ার করতে চান তবে ফাইভারে অনেক ডিজাইনার পেয়ে যাবেন। >>> Fiverr Gig

কাস্টমারের অর্ডার আসার পর আপনি সেই প্রডাক্ট তৈরি করে তারপর ক্রেতার কাছে পাঠিয়ে দিবেন। এজন্য প্রিন্টার ও ডিজাইনার লাগবে। এটাই মূলত ব্যবসার মূলধন। তবে অনেকেই অর্ডার নিয়ে এসে অল্প টাকায় কাপড় বা প্রডাক্ট কিনে তারপর সেগুলোতে ডিজাইন করে সেল দিতে পারে। তবে বাজেট সমস্যা না হলে প্রিন্টার কিনতে হবে। আপনার কোন অফিস থাকলে এবং বেশী অর্ডার থাকলে ডিজাইনার নিয়োগ দিতে হবে। অথবা আপনি নিজেই ডিজাইনিং শিখে নিতে পারেন বা ডিজাইনিং কাজ জানা থাকলে তো আপনার আলাদা খরচ বেচে যাবে। এসব কিছুর উপর নির্ভর করে আপনি কিরকম লাভ করতে পারবেন। যদি আপনি নিজে ডিজাইনার হোন তবে তো অনেক টাকা সেভ হয়ে গেল। আপনার ব্যবসার প্রফিট বেশী আসবে। আর না হলে আপনি মাসিক চুক্তিতে কোন ডেভেলাপরকে হায়ার করে নিতে পারেন। আসলে আপনি কিভাবে শুরু করবেন তার একটি নিজস্ব প্লান করতে হবে আপনার বাজেটের উপর ভিত্তি করে।

প্রিন্ট অন ডিমান্ড ব্যবসার জন্য কি কি লাগবে?

১। সেলস প্লাটফরম। ২। প্রিন্টার। ৩। ডিজাইনার। ৪। প্রডাক্ট। ৫। মার্কেটিং। প্রাথমিকভাবে এই পয়েন্টগুলোকে মাথায় রেখে আপনি ব্যবসার প্লানিং করতে পারেন।

কোন খাতে কত টাকা লাগতে পারে?

সেলস প্লাটফর্ম – ২০/৫০ হাজার টাকা। যদি ওয়েবসাইট সহ শুরু করতে চান তবে সেলস প্লাটফর্ম বাবদ এই টাকা বাজেট ধরতে হবে। ওয়েবসাইটে কি কি ফিচার রাখছেন কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে সাইট তৈরি করছেন ইত্যাদির উপর বাজেট ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা রাখতে হবে। তবে আরও কম টাকায়ও ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন। যদিও সেগুলোর কুয়ালিটি ভাল হবে না। ওয়েবসাইট তৈরি করলে একসাথে সেটার কুয়ালিটি মেন্টেইন করা ভাল।

প্রিন্টার – ১০-৫০ হাজার টাকা। কোন ধরনের প্রডাক্ট নিয়ে শুরু করছেন তার উপর নির্ভর করবে কোন ধরনের প্রিন্টার কিনতে হবে। তবে দাম একটু বেশী দিয়ে ভালমানের প্রিন্টার কিনে নিলে প্রডাক্ট তৈরিতে খরচ কম হয়।

ডিজাইনার – ৫০০০ – ৪০,০০০ হাজার টাকার মধ্যে ডিজাইনার পেয়ে যাবেন। প্রথমেই ডিজাইনার নিয়োগ না দিয়ে আপনি বড় কোন অর্ডার নিয়ে এসে অনলাইনের ডিজাইনার দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারেন।

প্রডাক্ট – ২- ২০ হাজার টাকা। যদি টিসার্ট কিনেন তবে এই টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন। আর যদি অন্য কোন প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চান তবে সেই অনুপাতে বাজেট নির্ধারণ করতে হবে।

মার্কেটিং – ২- ২০ হাজার টাকা। আমি এমন অনেককেই চিনি যারা শুধুমাত্র মার্কেটিং করেই শুরু করেছেন। অতপর ব্যবসাকে বড় করে সকল উপাদান সংগ্রহ করেছেন।

এই বিষয়ে যেকোন পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করুন – ওবায়দুল হক । হোয়াটসঅ্যাপ >> 8801929766847

আরও কিছু খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *