মাসে ১০০০ ডলার আয় করার টার্গেট

আপনি কি ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং করে মাসে ১০০০ ডলার + আয় করতে চান? তবে আপনার জন্য আজকের এই গাইড লাইন। দয়া করে সময় নিয়ে সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ুন। আপনি মাসে ১০০০+ ডলার আয় করতে পারবেন দৈনিক মাত্র ৮-১০ ঘন্টা সময় কাজ করে। আপনার কোন ওয়েবসাইট থাকার প্রয়োজন নেই। পেইড কোন টুলস ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। মাসে কোন ধরনের চার্য দেয়ারও প্রয়োজন নেই। শুধু কি তাই? এজন্য আপনার বড় ধরনের কোন স্কীল না থাকলেও হবে। শুধু ইচ্ছা শক্তি আর কাজ করার একাগ্রতা থাকতে হবে।

মাসে ১০০০ ডলার আয় করুন ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে

মাসে ১০০০ ডলার আয় করার গাইডলাইনটি “ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং ল্যাব” – ‘আইটিহল’ এর সৌজন্যে ডেইলীসুরমায় প্রকাশ করা হচ্ছে। মাসে ১০০০ ডলার আয় করতে হলে দিতে কত ডলার আয় করতে হবে? ১০০০ কে আমরা ৩০ দিয়ে ভাগ করি তা দাড়ায় ৩৩.৩৩ ডলার বা ৩৪ ডলার দৈনিক আয় করতে হবে। এখন আমরা এমন একটি প্রন্থা খুজে বের করতে হবে যা দিয়ে দিনে মাত্র ৩৪ ডলার আয় করা যায়। কিন্তু আজকে আমরা এখন কিছু শেয়ার করতে যাচ্ছি যা ব্যবহার করে আপনি দিনে ১০০ ডলার আরও অনেক বেশী আয় করতেও পারেন।

হাই পেয়িং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

প্রথমেই আমাদের এমন কিছু অ্যাফিলিয়েট প্রডাক্ট খুজে বের করতে হবে যা দিয়ে মার্কেটিং করলে সেল পাবার চান্স বেশী। উদাহরণস্বরুপ ভি.পি.এন. , ওয়েব হোস্টিং, ইমেল মার্কেটিং, এন্টিভাইরাস মার্কেটিং ইত্যাদি সফটওয়্যার বা অনলাইন টুলসগুলোর প্র্রচুর চাহিদা রয়েছে। এগুলো নিয়ে মার্কেটিং করলে সফল হবার চান্স বেশী। এগুলোর মধ্যে এমন কিছু কোম্পানী রয়েছে যারা প্রতি সেলসের জন্য ১০০ ডলার + কমিশন দিয়ে থাক। আপনি কি ভাবছেন? সেলস দেয়া কি এত সহজ? নাহ্ সেলস দেয়া সহজ নয় তবে আমরা কাজটি সহজ করে নেব। আমরা এমন একটি প্রডাক্ট চোজ করব যা প্রতি সেলসের জন্য ৩৪ ডলার + কমিশন দিবে এবং প্রতিদিন সেলস করা যাবে এমন একটি প্রডাক্ট চোজ করতে হবে। তারপর সেলস দেয়ার জন্য সহজ কিছু টেকনিক খুজে বের করতে হবে।

সেলস ট্যাকনিক ১ – মাসে আয় ১০০০ ডলার +

প্রথমেই ফেইসবুকে এমন কিছু বড় বড় গ্রুপ খুজে বের করতে হবে যা তে পোস্ট ডাইরেক্ট পাবলিশ করা যায়। যে প্রডাক্টটি চোজ করেছেন সেই রিলেডেট সকল পাবলিক গ্রুপ হায়ার করতে হবে। গুগলে বা ব্লগস্পকে ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে এবং আপনার প্রডাক্টের একটি ল্যান্ডিং পেজ তৈরি করতে হবে। সোশিয়াল মিডিয়াসহ প্রতিটি ফ্রি সোশিয়াল মিডিয়ায় পেজ / গ্রুপ ইত্যাদি তৈরি করে বড় একটি অডিয়েন্স তৈরি করতে হবে এবং প্রতিদিন ৮-১০ ঘন্টা মার্কেটিং করতে হবে। ইউটিউবে ভিডিও শেয়ার করতে হবে। যেখানেই বড় ট্রাফিক রয়েছে সেখানেই আপনার প্রডাক্টের মার্কেটিং করতে হবে।

সেলস ট্যাকনিক ২ – মাসে আয় ১০০০ ডলার +

১০০ টি জিমেইল বা ফ্রি ইমেল তৈরি করুন। একটি ইমেল থেকে একবারে ৫০ টি করে দিনে প্রতিটি ইমেল থেকে ৫০০ টি ইমেল ফ্রি করা যায়। দিনে ৩০০ টি ইমেল যদি সেন্ড করেন তবে ১০০ ইমেল আইডি থেকে ৩০,০০০ ইমেল সেন্ড করতে পারবেন। প্রতিদিন ৩০ হাজার ইমেল সেন্ড করলে বা ইমেল মার্কেটিং করলে দিনে ১ টি সেলস আসবে না? অবশ্যই আসবে যদি সঠিক প্রক্রিয়ায় কাজ করতে পারেন।

সেলস ট্যাকনিক ৩ – মাসে আয় ১০০০ ডলার +

metaclassi.com এর মতো অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ফ্রি পোস্ট করতে পারবেন। ক্লাসিফাইড সাইটগুলোতে কিংবা আরটিকোল পাবলিশার সাইটে মার্কেটিং করতে হবে।

সেলস ট্যাকনিক ৪ – মাসে আয় ১০০০ ডলার +

ভিডিও মার্কেটিং করতে পারলে সব থেকে বেশী পজেটিব রেজাল্ট পাবেন। আপনার প্রডাক্টটির উপর ভিডিও তৈরি করে সেগুলো টিকটক, ফেইসবুক, এক্স, ইউটিউব সহ সকল ভিডিও মার্কেটিং প্লাটফরমে ক্যাম্পেইন করতে হবে।

সেলস ট্যাকনিক ৫ – মাসে আয় ১০০০ ডলার +

হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, টেলিগ্রাম গ্রুপ ইত্যাদি গ্রুপ তৈরি করে বড় একটি অডিয়েন্সকে একসাথে যুক্ত করতে হবে এবং দিনে অন্যান্য ফ্রি পোস্টের মধ্যে একবার নিজের প্রডাক্টের ক্যাম্পেইন করতে হবে।

সেলস কেমন আসবে?

উপরে যে ফ্রী সেলস টেকনিকগুলো দেখানো হয়েছে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে দিনে ৫০ হাজার থেকে কয়েক লক্ষ্য মানুষের কাজে ক্যাম্পেইন করতে পারবেন। আর ১ লাখের মধ্যে ১ জন তো আপনার প্রডাক্ট কিনবেই। যদি ১ সাপ্তাহের মধ্যে কিনে না থাকে তবে প্রডাক্ট চেঞ্জ করে অন্য একটি প্রডাক্ট চোজ করে কাজ করতে থাকুন। এভাবে দিনে ১ টি সেলস তো অনেক কম , আপনি ধীরে ধীরে যখন এক্সপার্ট হয়ে যাবেন তখন দিনে ৩০/৪০ টা সেলসও দিতে পারবেন।

শেষকথা

এখানে আমরা শুধু প্রদ্ধতিগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রডাক্ট চোজ করা এবং মার্কেটিং দক্ষতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে না পারলে সফলতা পেতে দেরি হতে পারে। একবার বড় একটি অডিয়েন্স তৈরি করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারলে ১০০০ ডলার থেকেও বেশী মাসে আয় করতে পারবেন। প্যাকটিক্যালী কাজ শিখতে যোগাযোগ করুন – FreelancerGroup