সিলেট মৌলভীবাজারের মনিপুরিদের বিষ্ণুপ্রিয়া পঞ্জিকাতে আষাঢ় ৩২ দিনে
পৃথিবী নিজ অক্ষে নিরন্তর চলতে থাকে। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই আসে প্রতিবছর ফাল্গুন মাস। কিন্তু এই বছর ফাল্গুন একটু ভিন্ন রুপেই এসেছে।
বাংলা পঞ্জিকা
৪ বছর পর আজ, ৩০শে ফাল্গুন, বাংলা অধিবর্ষের কারণে ফাল্গুন মাস ২৯ দিন থেকে বেড়ে এই বছর ৩০ দিনে হচ্ছে। অবশ্য ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরই এই মাসটি ৩০ দিনে হতো।
শুধু যে বছর ফেব্রুয়ারি ২৯ দিনে হতো সে বছর ফাল্গুন মাসটি ১ দিন বেড়ে ৩১ দিনে হতো। সে সময়ে যদি কারো জন্ম ৩১শে ফাল্গুন হয়ে থাকে তাহলে তিনি আর বাংলা পঞ্জিকাতে তার জন্মদিন পাচ্ছেন না । অন্তত এই পঞ্জিকাতে কোন পরিবর্তন না হলে, অনেকটা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর বাংলা পঞ্জিকা সংস্কারের আগে যেমন ৩২ আষাঢ়/জৈষ্ঠ কারো জন্ম হলে এখন আর বাংলা পঞ্জিকাতে তার জন্মদিন নাই। সে জন্যই হয়তো বলা হয় “আষাঢ়ে গল্প”
জৈষ্ঠ/আষাঢ় মাস কিন্তু তামিল নাড়ু (জৈষ্ঠ-আনি), নেপাল সহ এই উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এখনো ৩২ দিনে হয়।
সিলেট মৌলভীবাজারের মনিপুরিদের বিষ্ণুপ্রিয়া পঞ্জিকাতেও আষাঢ় ৩২ দিনে, অবশ্য ৩২ আষাঢ়/জৈষ্ঠ ভিন্ন কোন পঞ্জিকাতে পাওয়া গেলেও ৩১শে ফাল্গুন কিন্তু পাওয়া দুরুহই বটে!
কারন পশ্চিম বঙ্গ সহ আসাম ত্রিপুরায় প্রচলিত বঙ্গাব্দের পঞ্জিকাতে অধিবর্ষ হলে ১ দিন ফাল্গুনে নয় বাড়ে চৈত্র মাসে, যেটা আবার হিন্দু পঞ্জিকার প্রথম মাস।
ফাল্গুন মাসের এই অদ্ভুত প্রছলন হয়ত এভাবেই চলতে থাকবে।