আমরা অনেক সময় ডোমেইন কেনার আগে খুব বেশী রিসার্চ না করেই ডোমেইন ক্রয় করে ফেলি। কিন্তু আমরা হয়ত জানিই না , এই ডোমেইনটি আমাদের আগেও আর কেউ ব্যবহার করে থাকতে পারে। যদি এটা হয়ে থাকে আর আগের মালিক ডোমেইনটি কিনে কোন ধরনের স্পামীং কাজ করে থাকে তবে আপনার সাইটটি গুগলে রেংক করানো অনেক কষ্টকর হতে পারে। তাই আপনার বিজনেসের জন্য বা ডোমেইন বাই সেল করার প্লান থেকে ডোমেইন কেনার প্লান থাকলে আজকের নিউজটি গুরুত্ত্ব দিয়ে পড়বেন।
পোস্টের হাইলাইট
গুগল প্লান্টির জন্য ওয়েবসাইট রেংক হচ্ছে না?
হতে পারে আগে আপনার ক্রয়কৃত ওয়েবসাইট কেউ কিনেছিল। সে হয়ত সাইটে কোন ধরনের এডাল্ট কন্টেন্ট পাবলিশ করেছিল বা এডাল্ট সাইট থেকে ব্যাংকলিংক নিয়েছিল বা ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে কোন ধরনের প্রত্যারণামূলক কাজ করেছিল ফলে সাইটটি নিয়ে কোন গুগলে রিপোর্ট হয়েছিল। যদি এটা হয়ে থাকে তবে গুগল এই ডোমেইনে প্লান্টি দিয়ে রাখবে। ফলে পরবর্তী যদি ডোমেইনটি আর কেউ কিনে থাকে তবে সেটা আর গুগল রেংক করবে না। তাই ডোমেইন কেনার আগে গুগল থেকে ডোমেইনটি প্লান্টি ছিল কি না সেটা খুজে বের করতে হবে।
ওয়েবসাইটে গুগল কেন প্লান্টি দেয়?
১। যদি এডাল্ট কন্টেন্ট পাবলিশ হয়।
২। যদি ফেইক সাইট থেকে ব্যাংকলিংক নেয়া হয়।
৩। দ্রুত রেংক পাওয়ার জন্য যদি স্পামিং করা হয়।
৪। যদি সাইটটির মাধ্যমে প্রত্যারণামূলক কোন কাজের জন্য রিপোর্ট করা হয়।
৫। যদি কোন ধরনের রোবটিক টুলস ব্যবহার করা হয়।
৬। যদি কোন ধরনের হ্যাকিং বা ফিশিং কার্যক্রম করা হয়।
ইত্যাদি অসংখ্য কারণ রয়েছে যার জন্য গুগল একটি সাইটকে প্লান্টি দিয়ে রাখতে পারে।
কিভাবে বুঝব গুগল প্লান্টি দিয়েছে কি না?
গুগল প্লান্টি দিয়েছে কি না ডাইরেক্টলী বুঝার কোন উপায় নাই। তবে কিছু পদ্ধতি রয়েছে যার সাহায্যে আমরা অনুমান করতে পারি।
১। হাই স্পামিং স্কোর – কিছু ওয়েবটুলস রয়েছে যার সাহায্যে আমরা একটি ওয়েবসাইটের স্পাম স্কোর চেক করতে পারি। যদি স্পাম স্কোর ৩০% এর বেশী হয় তবে সেই সাইটটি কেনা উচিত হবে না। আর ফ্রেশ ওয়েবসাইটের স্পাম স্কোর ০% থাকবে। এটাই সেইফ। নিচে দুটি টুলসের লিংক শেয়ার করছি যার সাহায্যে স্পাম স্কোর চেক করা যাবে।
১. মজ এনালাইজার
২. স্পাম চেকার
এছাড়াও স্পাম চেকার লিখে গুগলে সার্চ দিলে আমরা আরও টুলস পাব।
ব্যাকলিংক কুয়ালীটি
গুগলে ব্যাংকলিংক চেকার লিখে সার্চ দিলে আমরা অনেক টুলস পাব। যার সাহায্যে আমরা একটি সাইটের ব্যাংকলিংক চেক করতে পারব। যদি ব্যাংক লিংকগুলো কোন ধরনের সাইট থেকে এসেছে সেগুলো চেক করে দেখি তবে বুঝতে পারব সাইটির মাধ্যমে ইলিগাল কোন কাজ করা হয়েছে কি না। যদি নিউজ সাইট , গভ সাইট, এডু সাইট সহ ভাল ভাল কন্টেন্ট রয়েছে এমন সাইট থেকে ব্যাংকলিংক আসতে দেখি তবে বুঝতে পারব সাইটটিতে কোন স্পামিং হয় নি। আর যদি দেখি কোন ধরনের ফেইক ব্যাংকলিংক রয়েছে তবে সম্ভাবনা আছে সাইটটি গুগলে প্লান্টি খেতেও পারে।
চেক ডোমেইন হিস্ট্র
গুগলে আপনার ওয়েবসাইটটি এরকম “https://yourwebsite.com/” ডাবল ইনভাইটেড কমা দিয়ে সার্চ করা হয় তবে সাইটের টুটাল হিস্ট্রি যা গুগলের কাছে পাবলিকলী রয়েছে তা দেখতে পারব। যে ধরনের সাইটটের লিংকে এই ডোমেইনটির লিংক পাব সেগুলো ভিজিট করে দেখতে হবে।
ওয়েব আরকাইব চেক
সব চেয়ে ইম্পোরটেন্ট কাজটি হচ্ছে ওয়েব আরকাইবে চেক করে দেখতে হবে ডোমেইনটি আপনার আগে আর কেউ ব্যবহার করেছে কি না। এই সাইটের মাধ্যমে একটি ডোমেইন কতবার কেনা হয়েছে , কোন কোন ডেটে কেনা হয়েছিল সবই দেখা যাবে। যদি আপনার আগে আর কেউ ব্যবহার করে থাকে তবে ভালভাবে খুজে বের করতে হবে উনি এখন আর কেন এটি ব্যবহার করছেন না। ওয়েব আরকাইবে চেক করার লিংক >> ওয়েব আর্কাইব।
**** ডোমেইন ক্রয় বিক্রয় করে অনলাইনে টাকা আয় করতে চাইলে এই আরটিকোলটি পড়ুন >>>
*** আপনার ওয়েবসাইটের এসইও রেংক চেক করুন এখানে >>
ওয়েবসাইটের রেংক চেকআপ
আপনার ওয়েবসাইটটি গুগলে রেংক করছে কি না তা চেক করার সহজ একটি টুলস হচ্ছে স্মল এসইও টুলস। অনেক সময় আমরা এসইও করে যে টার্গেট লোকেশনের সার্চ ইঞ্জিনে সাইটটি রেংক করাতে চাই সেখানে রেংক করছে কিনা তা জানার প্রয়োজন হয়। এই টুলসের মাধ্যমে টার্গেট লোকেশন সিলেক্ট করে ইউআরএল এর মাধ্যমে কীওয়ার্ড বা কীওয়ার্ড ছাড়া শুধু লিংক বসিয়ে চেক করে দেখতে পারি।
ওয়েবসাইট রেংক সমস্যার সমাধান কিভাবে করব?
গুগল প্লান্টি জনিত কারণে রেংক না হলে এই সমস্যার সমাধান করা খুবই কষ্টকর। অনেক সময় স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৫/১০ গুন বেশী সময় লাগে। আবার কোন কোন সময় রেংক করানো সম্ভব হয় না। তবে সাইটটি ভাল ভাল ওয়েবসাইট থেকে ব্যাক লিংক নিতে পারলে এবং ভাল ভাল কন্টেন্ট দিতে পারলে গুগলের প্লান্টি রিমোভ করে রেংক করানো সম্ভব হতেও পারে।
ওয়েবসাইটের রেংক দ্রুত পেতে চাইলে কেমন ডোমেইন কেনা উচিত?
১। অবশ্যই ডট কম ডোমেইন কেনা উচিত।
২। লো কম্পিটেশন কীওয়ার্ডের ডোমেইন হওয়া উচিত।
৩। ১০ বর্ণের নিচে ডোমেইন নাম হওয়া উচিত।
৪। নাম্বারিক ডোমেইন ও (-) স্পেশাল সাইনযুক্ত ডোমেইন কেনা উচিত না।
৫। আগে ব্যবহার করা হয়েছে এমন ডোমেইন কেনা উচিত না।
৬। কোন ধরনের এডাল্ট বা স্পামী শব্দ রয়েছে এমন ডোমেইন কেনা উচিত না।
পরিশেষে বলব, একটি ডোমেইনের উপর একটি বিজনেসের ব্রান্ড ভেলু গড়ে উঠে। আপনার ডোমেইনটি বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আনইথিক্যাল কোন কাজ করবেন না। ডোমেইন কেনার আগে এমন কোন ডোমেইন কিনবেন না যাতে গুগলের প্লান্টি রয়েছে। আপনার ইনভেস্ট সবই জলে যেতে পারে।