ইসলামী ছাত্র শিবির (আইসিএস)
ইসলামী ছাত্র শিবির (আইসিএস) বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে সহিংস কার্যক্রমের জন্য বিশেষভাবে সমালোচিত। ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি ২০০১-২০০৬ সময়কালে রাজনৈতিক সহিংসতা, হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, এবং শিক্ষকদের উপর নির্যাতনসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল।
১. রাজনৈতিক সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ড
- হত্যাকাণ্ডের ঘটনা: ২০০১-২০০৬ সময়ে ইসলামী ছাত্র শিবির ১০০টিরও বেশি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, যেগুলোর অধিকাংশই প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র সংগঠনগুলোর সদস্যদের লক্ষ্য করে ছিল। ২০০৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম (রফিক) শিবিরের আক্রমণে নিহত হন, যা সারাদেশে আলোড়ন তোলে (সূত্র: Daily Star, 2004)।
- হত্যার পদ্ধতি: শিবিরের সদস্যরা সাধারণত ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ নেতাদের টার্গেট করত।
২. ক্যাম্পাসে সহিংসতা এবং চাঁদাবাজি
- চাঁদা আদায়: ক্যাম্পাসে শিবির প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার চাঁদা আদায় করত। ২০০৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের সদস্যরা প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের নেতাদের উপর আক্রমণ চালিয়ে চাঁদা দাবি করে, যা পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশকে অস্থির করে তোলে (সূত্র: South Asia Terrorism Portal, 2006)।
- আক্রমণের ঘটনা: ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতারা চাঁদা না দেওয়ায় শিবিরের সদস্যরা তাদের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালায়, যা ক্যাম্পাসে ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে (সূত্র: Bangladesh Police Reports, 2003)।
সূত্র:
- Daily Star, 2004
- South Asia Terrorism Portal, 2006
- Bangladesh Police Reports, 2003