৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগের ঐতিহাসিক আত্নত্যাগ। আওয়ামীলীগের পতন হয় নি। বরং জয় হয়েছে।
আওয়ামীলীগের হাতে ক্ষমতা ছিল। তারা ক্ষমতা চাইলে যেকোন উপায়ে এটা ধরে রাখতে পারত। রক্ত চায় নি আওয়ামীলীগ। যারা রক্ত ঝরাতে চেয়েছিল আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে তারা জয়ী হয়ে যেত। ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সব নেতাকর্মীদের ঢাকায় এনে জড়ো করলে কি হতো চিন্তা করেন। গনভবন ঘেরাও তো পরের কথা , অন্য দলের কর্মীদের খুজে পাওয়া যেত না। কিন্তু এতে বিশ্বের কাছে এবং দেশের জন্যও এটা অনেক বড় শুন্যতা তৈরি করত। তাই আওয়ামীলীগ ব্যাকফুটে হেটেছে। এটা পরাজয় নয়। বরং রক্ত কম ঝরিয়ে এবং নিরাপরাধ সারাধারণ মানুষদের বুঝতে পারার মতো ও চিন্তা করার মতো সময় দেয়ার জন্য ব্যাকফুটে হেটেছে আওয়ামীলীগ।
এখন সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে। এখন আর সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরবে না। তাই এখন আওয়ামীলীগ দ্বিগুন শক্তি নিয়ে ফিরে আসবে এবং প্রতিপক্ষের সব গুড়িয়ে দিয়ে যাবে। বঙ্গোপসাগরেও তাদের নিশানা খুজে পাওয়া যাবে না।
৫ আগষ্টের ততাকথিত
গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে বলব, এটা পুরটাই বিভ্রান্তি। মূলত হাসিনা পদত্যাগের খবর একটা গোষ্টি পরিকল্পিতভাবে ছড়িয়ে দেয়। আর এতে গনভবন দেখার জন্য ও বাইরে কি ঘটে সেটা দেখার জন্য জনগন কৌতুহল থেকে রাস্তায় নেমে আসে। আন্দোলন কারী ৩০/৪০ হাজার ছিল আর বাকীরা ছিল কৌতুহলী জনতা। এর মধ্যে কিশোরগ্যাঙ্গ ও জেল ভেঙ্গে বেরিয়ে আসা জঙ্গিদের একাংশ জড়িত ছিল সরাসরি। এটাই সেদিন বাস্তবে ঘটেছিল।
কৌতুহলী জনতার এই রাস্তায় নেমে আসার পেছনে আওয়ামীলীগ দায়ী ছিল। নেট বন্ধ থাকায় সাধারণ জনতা দেশ থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়েছিল। তারা কোথাও কোন খবর পাচ্ছিল না। হঠাৎ যখন শুনল প্রধাণমন্ত্রী ভারতে চলে যাচ্ছেন , তখন কৌতুহল কেউ ধরে রাখার কথা না। কি হচ্ছে , সেটা দেখার জন্যই মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।
অবশ্য অস্বীকার করার সুযোগ নেই, এই সময় একটা গোষ্টি নিজেদের অস্তিত্ত্ব টিকিয়ে রাখতে আন্দোলনকারী সেজে তাদের দলে যোগ দিয়েছিল। তাই এটাকে বিপ্লব তো অনেক পরে, এটা কোনভাবেই গণঅভ্যুত্থান নয়। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোন গণঅভ্যুত্থান নেই যেখানে এতো দ্রুত জনসমর্থন হারিয়ে যায়। গণঅভ্যুত্থান একটি এজেন্ডা নিয়ে প্রথম থেকে কাজ করে। মানুষের জনমত সেভাবেই গড়ে উঠে। কিন্তু ৫ আগষ্ঠের ঘটনাবলী সুক্ষভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এটা একটা রক্তপাতহীন জয়। মহান নেতা রক্তপাত এড়াতে এবং সাধারণ মানুষদের বাচাতে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেন। তাই জয় আন্দোলনকারীদের নয়, বরং জয় আওয়ামীলীগেরই হয়েছে। যত সময় যাবে এটাই পরিষ্কার হবে।
৫ আগষ্ট পরবর্তী যত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে সেটা নিয়ে কেউ কথা বলছে না। খুব শিঘ্রই সবকিছু উল্টে যাবে এবং মানুষ শস্তির নিশ্বাস ফেলবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক
নাম প্রকাশে অনচ্ছিক