গাজায় ঈসরাইলের সন্ত্রাসী ও ইতিহাসের বরবর গনহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সারা দেশে আজ প্রতিবাদ স্বরুপ ক্লাস বর্জন ও অফিস বর্জনের ডাক দেয়া হয়েছে।
এসব স্টাইক / সাট ডাউন ধরনের প্রতিবাদ বাদ দিয়ে আজ শিক্ষার্থীদের এক্সট্রা ক্লাস করানো উচিত ছিল। মুসলিম উম্মার পতনের ইতিহাস, উম্মার ফেতনার ইতিহাস, বিজয়ের ইতিহাস, ঐক্যের গুরুত্ত্ব। এসব বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া উচিত ছিল। তাদের মতামত ও ভবিষ্যৎ চিন্তার উপর তাদের রচনা লিখতে বলা উচিত ছিল।
মানব বন্ধন করা যেতে পারে। এটা আমাদের দুর্বল ঈমান দিয়ে কাফিরদের প্রতিবাদের সর্বশেষ উপকরণ। শিক্ষার্থীদের চিন্তা ধারার উপর কন্টেন্ট ডকুমেন্টারী তৈরি করা যেতে পারে। সর্বত্র এসব নিয়ে কাজ করা উচিত। পশ্চিমা প্রডাক্ট বর্জন এবং ঘরে ঘরে লিষ্টগুলো দেয়ালে দেয়ালে দোকানে দোকানে পোস্টারিং করা উচিত। নতুন করে কেউ এসব পণ্য কিনবে না। কোন দোকানদার ১ মাসের মধ্যে এসব প্রডাক্ট পুরোপুরি কেনাবেচা বন্ধ না করলে সেসব দোকানের নাম প্রতিটা বাজারে নিষিদ্ধ দোকান হিসাবে তালিকাভুক্ত করতে হবে। যেন কোন মুসলিম সেসব দোকানে কোন ধরনের সম্পর্ক ও যোগাযোগ না করে।
পশ্চিমাদের চোখে বিশ্বকে দেখা বন্ধ করতে হবে। আল্লাহর দোহাই ক্লাস বর্জন টাইপ মাথলামী বন্ধ করে আরও বেশী কাজ করা উচিত আমাদের। কি করলে আমরা ইহুদি নাসারাদের তথা আমাদের শত্রুদের মোকাবেলা করতে পারি তা নিয়ে আলোচনা করুন। সুস্থ মাথায় সুস্থ চিন্তা করুন। ক্লাস বর্জন করে, অফিস বন্ধ করে ঘরে বসে হাতে চুড়ি পড়ে টিভিতে মুসলিম ভাইদের হত্যার ভিডিও দেখে দেখে হা হু তাস করা বাদ দিয়ে সত্যিকারের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে নতুন জেনারেশনকে প্রস্তুত করে তুলুন।
সবাই যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। কেউ জানে না আগামীকাল আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে। আমাদের উপর আল্লাহর গযব নাযিল হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের কি হুস হবে না? আকাশ ভেঙ্গে না পড়ার আগ পর্যন্ত আমরা কি আল্লাহর পথে ফিরে আসব না। সব কিছু ত্যাগ করে আল্লাহ ও তার রাসূলের পথে ফিরব না? অতীতে কোন জাতীই সর্তক হয় নি। তাদের উপর গযব না আসা পর্যন্ত তারা কেউ আল্লাহকে সত্য বলে স্বীকার করে নি। আর যখন গযব নির্ধারিত হয়ে যাবে, তখন আর কোন মায়াকান্না করার সুযোগ নেই। অতএব আমার দ্বায়িত্ত্ব তোমাদের সর্তক করা। তোমরা প্রস্তুত হও আর আল্লাহর পথে ফিরে আসো। আল্লাহ আমাদের সঠিক পথ দেখান। আমীন।
ওবায়দুল হক
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও ওয়েব ডেভেলপার
আইটিহল,