চরজুড়ে ঝিনুকের সাদা গালিচা, কুয়াকাটায় পর্যটকদের নতুন স্বপ্নভূমি
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন চরাঞ্চল এখন এক অভিনব সৌন্দর্যে মোড়ানো। চরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা হাজারো সাদা ঝিনুক ও শামুকের খোলস যেন উপকূলকে ঢেকে দিয়েছে সাদা কার্পেটে। অনন্য এ প্রাকৃতিক দৃশ্য পর্যটকদের কাছে হয়ে উঠেছে নতুন আকর্ষণ।
জোয়ার-ভাটার খেলায় সমুদ্রের ঢেউ ভেসে আনে অসংখ্য ঝিনুক। ধীরে ধীরে চরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এ শামুক-ঝিনুকের খোলস, যা উপকূলে এনে দেয় অন্যরকম রূপ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াকাটার ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের বিভিন্ন স্থানে ঝিনুক-শামুকের সাদা আস্তরণে সৃষ্টি হয়েছে অপূর্ব দৃশ্যপট।
খুলনা থেকে আসা পর্যটক তামান্না বলেন, ‘মনে হচ্ছে যেন রূপকথার কোনো সৈকতে এসে পড়েছি। চারপাশে শুধু ঝিনুক আর ঝিনুক—এ দৃশ্য সত্যিই অসাধারণ।’
একই জেলার পর্যটক দম্পতি তানভীর ও রুমানা জানান, ছবি তোলার জন্য এটি নিখুঁত স্থান। তবে তারা আশা প্রকাশ করেন, প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্য যেন সংরক্ষিত থাকে।
স্থানীয় পর্যটনকর্মী হোসাইন আমির বলেন, ‘প্রতিদিন শত শত মানুষ এখানে ঘুরতে আসছে। সৌন্দর্য রক্ষায় প্রশাসন ও স্থানীয়দের একসাথে উদ্যোগী হতে হবে।’
উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের (উপরা) সভাপতি কে এম বাচ্চু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ঝিনুক ভেসে আসা একদিকে পরিবেশের জন্য ইতিবাচক হলেও এর পেছনে জলবায়ুর প্রভাব বা সমুদ্রের পানির মানের পরিবর্তনের ইঙ্গিতও থাকতে পারে। বিষয়টি গবেষণা করা প্রয়োজন।’
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব টোয়াক সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুশার জানান, ‘ঝিনুকের এ দৃশ্য পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে। যথাযথ পরিকল্পনা নিলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে।’
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, কুয়াকাটার এ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা ও পর্যটকদের জন্য পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।