বৃষ্টি খাতুন

বৃষ্টি খাতুন

রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ আগুনে নিহত সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ তার বাবার কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আরও পড়ুন >>> প্রিন্ট অন ডিমান্ড ব্যবসা করুন অল্প পুজিতে

আজ সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে সিআইডি কর্মকর্তা অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মাতুব্বর বৃষ্টির মরদেহ তার বাবার কাছে হস্তান্তর করেন।

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বাবা-মায়ের ডিএনএর সঙ্গে বৃষ্টি খাতুনের ডিএনএর নমুনা মিলে যায়। তার ভোটার আইডি কার্ড, সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য সবকিছু মিলে যাওয়ায় আমরা মরদেহটি বাবার কাছে হস্তান্তর করি।
বৃষ্টির বাবা সবুজ শেখ (সাবলুল) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি আমার মেয়ের মরদেহ বুঝে পেয়েছি। গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা থানার বনোগ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বৃষ্টিকে দাফন করা হবে।

মেয়ের মৃত্যুতে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেবেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে মেয়ের মরদেহ দাফন করি। এরপর ভেবে দেখব, এই বিষয়ে আইনের আশ্রয় নেব কি না।

ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রায় ১০ দিন পরে গতকাল রবিবার রাতে এই নারী সাংবাদিকের আসল পরিচয় পাওয়া যায়। গতকাল রাতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানায়, সাংবাদিক মহলে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী হিসেবে পরিচিত হলেও ওই নারী সাংবাদিকের প্রকৃত নাম বৃষ্টি খাতুন। কুষ্টিয়ায় জন্ম নেয়া বৃষ্টি খাতুনের বাবার নাম সাবলুল আলম এবং মা বিউটি খানম।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি মরদেহ শনাক্ত হওয়ার পর একদিন মরদেহটি শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ছিল। ডিএনএর নমুনা সংগ্রহের জন্য পরদিন মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।

বেইলি রোডের ওই অগ্নি দুর্ঘটনায় মোট ৪৬ জন মারা যায়। এর পরদিন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট থেকে মোট ৪৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। লাশ শনাক্ত হলেও তখন নাম ও ধর্ম পরিচয় নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা যায়নি।

আরও কিছু খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *